মিরো ওয়েবডেস্ক
দেশের মধ্যে অসমেই মহিলারা সবচাইতে বেশি অসুরক্ষিত। সম্প্রতি প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০২০ সালের সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার বছর ধরে নারী নির্যাতনের গড় হারে অসম সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। এনসিআরবি-র প্রতিবেদনের মতে ২০২০ সালে অসমে প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ১৫৪.৩, যেখানে সারা দেশে এই পরিসংখ্যানের গড় মাত্র ৫৬.৫।
জনসংখ্যার লাখের অনুপাতে অসমে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান | |
২০১৭ | ১৪৩.৩ |
২০১৮ | ১৬৬.০ |
২০১৯ | ১৭৭.০ |
২০২০ | ১৫৪.৩ |
এখানে উল্লেখ করতে হয় যে গণধর্ষণ, যৌতুক সংক্রান্ত মৃত্যু, মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অ্যাসিড হামলা, নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং অপহরণের মতো অপরাধকে নারী নির্যাতনের আওতাধীন শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। দেশে মহিলা মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে এই সকল নারী নির্যাতনজনিত অপরাধ।
অসমের ক্ষেত্রে এই চিত্রটি বেশ মলিন। দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২.৬ শতাংশ অসমে বসবাস করছেন, কিন্তু ২০২০ সালে দেশের মোট নারী নির্যাতনের প্রায় ৭ শতাংশ অসমে সংগঠিত হয়েছে।
যদিও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে অসমে নারী নির্যাতনের সংখ্যা কমেছে, কিন্তু এনসিআরবি-র প্রতিবেদন অনুসারে টানা চার বছর ধরে এই নারী নির্যাতনে অসম শীর্ষে থেকে গেছে।
তবে, নারী নির্যাতনের মোট সংখ্যার হিসেবে দেশের সবচাইতে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ সবার আগে রয়েছে। ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশে নারী নির্যাতনের মোট সংখ্যা ৪৯৩৮৫, যেখানে অসমে এই সংখ্যা ২৬৫৩২। ২০১৯ সাল থেকে গতবছর অসমে মোট নারী নির্যাতনের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু জনসংখ্যার গড় হিসেবে, লাখের অনুপাতে, অসম সব রাজ্যকে ছাড়িয়ে ২০১৭ সাল থেকে সবার আগেই চলছে।
অসমে মোট নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান | |
২০১৭ | ২৩০৮২ |
২০১৮ | ২৭৬৮৭ |
২০১৯ | ৩০০২৫ |
২০২০ | ২৬৫৩২ |